‘ইন্টারন্যাশনাল সেক্স স্কুল’ নিয়ে বিশ্বব্যাপি তোলপাড় -
"A blog about social networking and web design." Health Tips For All, Entertainment, News. Its Fine and Lovely.
অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বিশ্বের প্রথম যৌন বিষয়ক ‘ইন্টারন্যাশনাল সেক্স স্কুল’ এর কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। স্কুলটিতে ছেলে-মেয়েদের যৌনাচার সম্পর্কে হাতে-কলমে শিক্ষা দেয়া হবে। স্কুলটির কার্যক্রম নিয়ে সারা দুনিয়র ইতিমধ্যে হৈ চৈ শুরু হয়েছে। মারিয়া থমপসনের উদ্যোগে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসেই এই স্কুলের কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। স্কুলটির কার্যক্রম নিয়ে ইতিমধ্যে ওয়েবসাইটে প্রচারণাও শুরু হয়েছে। স্কুলের পাঠ্যক্রমের অধিকাংশটাই হাতে-কলমে শিখিয়ে দেয়া হবে। কেমন করে শরীর দিয়ে বলা যাবে মনের কথা? কীভাবেই বা পৌঁছন যাবে রতি অভিসারের অন্তিম সুখে? তা শিখিয়ে দেবে এই স্কুল। আর এই শিক্ষার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এক বিশেষ ডরমেটরির যেখানে ছেলে মেয়ের সহাবস্থানে অনায়াসে হবে ‘ভালবাসার হোমওয়ার্ক’। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মারিয়া থমপসন জানান, যৌন বিষয়ে তত্ব কথা ও পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে এসে এই শিক্ষা তৈরি করবে ‘উপযুক্ত প্রেমিক-প্রেমিকা’। শিখিয়ে দেবে পাগল করা ভালবাসার নানান কৌশল। স্কুলের সিলেবাসের পাতায় পাতায়ও চমক- ‘সেক্সুয়াল টেকনিকস্’, ‘হিস্ট্রি ওফ সেক্স’, ‘অ্যাডভান্স ইন্টারকোর্স’ এর মত বিষয়গুলো শেখানো হবে। প্র্যাক্টিকাল পদ্ধতির ওপরেই স্কুলটিতে জোর দেয়া হচ্ছে। ১৬ বছর পার করে যে কেউ এই শিক্ষা নিতে পারেন। আপাতত ৫ জন শিক্ষক আর ৭০ জন ছাত্রকে দিয়ে ক্লাস আরম্ভ হচ্ছে। স্কুলের প্রতিটি পরীক্ষায় ছাত্রদের পাশ বাঞ্ছনীয় এবং ছাত্রদের সুরক্ষার জন্যে কন্ট্রাসেপটিভ পিল বিনামূল্যে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরকম স্কুল যে সাফল্য অর্জন করবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ আত্ববিশ্বাসী হলেও ইতিমধ্যেই অস্ট্রিয়ায় স্কুলটি বন্ধ করার দাবি উঠেছে। স্কুলের পক্ষ থেকে দেয়া একটি বিজ্ঞাপনে এক দম্পতির অশালীন ছবির বিরোধিতা করে সোচ্চার হয়েছে অস্ট্রিয়ার কয়েকটি টিভি চ্যানেল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহুয়া সরকারকে এই বিষয় নিয়ে মতামত চাইলে তিনি জানান, থার্ড ওয়ার্ল্ডের পরিবেশকে মাথায় রেখে যদি এই ধাঁচের স্কুল ভারতেও চালু হয় তাতে ছাত্র ছাত্রীরাই উপকৃত হবে।
কিন্তু ফার্স্ট ওয়াল্ডের ‘ফ্রি সেক্স’ নিয়ে তিনি সরাসরি আপত্তি জানান। প্রেসিডেন্সির দর্শন বিভাগের ছাত্রী নয়নিকা সেক্স স্কুলের খবর পেয়ে যারপরনাই উত্তেজিত। সুযোগ থাকলে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যেতেও পিছপা হবেন না বলে তিনি জানালেন। ইউ টিউবে ইতিমধ্যেই স্কুলের বিষয় ও পদ্ধতি নিয়ে প্রোমো দেখান আরম্ভ হয়েছে, আর সেই ভিডিওর বিপুল জনপ্রিয়তাই জানিয়ে দিচ্ছে অস্ট্রিয়ার এই স্কুলের খ্যাতি বাৎসায়নের ‘কামসূত্র’-র চেয়ে কিছু কম হবে না - See more at: http://bangla.timesofdhaka.com/index.php?page=des&cid=45&news_id=10949#sthash.WEJ55QZu.dpuf
Comments