ফেস ওয়াশ-স্ক্রাব-সানস্ক্রিন ব্যবহারে সাবধান
ইস! আপনি কী স্বার্থপর! ত্বককে তকতকে রাখতে কত কী না ব্যবহার করেন। ফেস ওয়াশ-স্ক্রাব-সানস্ক্রিন-ময়শ্চারাইজার। অঙ্গে লাগান সাবান-বডি পলিশার কিংবা বডি-মিল্ক। দাঁত-হাতই বা বাদ যায় কেন? সেজন্য আবার রয়েছে টুথপেস্ট, হ্যান্ড ক্লিনজার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কেশের যত্নের জন্য আছে শ্যাম্পু-কনডিশনার। কিন্তু জানেন কী, আপনার ব্যবহৃত এই সব রাসায়নিক প্রসাধনীতে রয়েছে প্রচুর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ক্ষতিকারক প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ, যা পানিতে মেশে না, নষ্ট হয় না। বরং নিকাশি নালার মাধ্যমে বাহিত হয়ে গিয়ে পড়ে নদীতে-খালে-পুকুরে। জমতে থাকে সেখানে। দূষণ তো ছড়ায়ই। পাশাপাশি ৭০০ রকম জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদেরও প্রাণ সংশয় করে তোলে।
কী? চোখ কপালে উঠছে? তাহলে একবার প্লাইমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রিচার্ড থম্পসনের গবেষণার ফলাফলের দিকে নজর দিন। থম্পসনের দাবি, প্রতি বছর শুধুমাত্র ব্রিটেন থেকেই অন্তত ৮০ টনের মতো অপ্রয়োজনীয় মাইক্রো প্লাস্টিক বর্জ্য নিকাশি নালার মাধ্যমে বাহিত হয়ে সমুদ্রে মেশে। এই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্লাস্টিক পদার্থগুলি আসে ক্রিম, টুথপেস্ট, ক্লিনজারের মতো দ্রব্য থেকে। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এই সব প্রসাধনী এবং দ্রব্যের বেশিরভাগই কিন্তু কেমিক্যাল অর্থাৎ রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। তাড়াতাড়ি ফল পেতে ব্যবহারকারীরা কেমিক্যাল কসমেটিক্স বেশি ব্যবহার করেন। আর তাঁদের কাছে টানার জন্যই স্বচ্ছ ফেসওয়াশে মেশানো হয় লাল-নীল বিডস, ফেসিয়াল স্ক্রাবে ব্যবহার করা হয় মাইক্রো পার্টিকলস, টুথপেস্টে দেওয়া হয় কুলিং এজেণ্টস। বিজ্ঞাপনে বোঝানো হয়, এগুলি থাকায় পণ্যের কার্যকারিতা বাড়বে। দ্বিগুণ শক্তিতে কাজ করবে তারা। অথচ বাস্তবে হয় উল্টোটা। এতো কেমিক্যালযুক্ত পণ্যের ব্যবহারে ত্বক-চুল-দাঁতের যেমন ক্ষতি হয়, বিপদের হাত থেকে পার পায় না জলজ প্রাণী-উদ্ভিদরাও।
তাহলে উপায়? আবার কী? ‘কেমিক্যাল' ছাড়ুন। ‘ন্যাচারাল' ধরুন। প্রকৃতির স্পর্শেও সুস্থ, সুন্দর, নীরোগ থাকা যায়। আবার বাস্ত্রতন্ত্রের অন্যান্য সদস্যদেরও বিপন্মুক্ত রাখা যায়। সকলের ভালোর স্বার্থে এটুকু তো করা যেতেই পারে। কী বলেন? সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন -
See more at: http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2015/09/19/270528#sthash.AnMsC1vh.dpuf
See more at: http://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2015/09/19/270528#sthash.AnMsC1vh.dpuf
Comments