মায়াবী মূখটা কিযে সুন্দর

"A blog about social networking and web design." Health Tips For All, Entertainment, News. Its Fine and Lovely.
\
মায়াবী মুখ . পিয়াল বাড়িতে ফিরেই দেখতে পেল ঘরের অনেক জিনিসপত্র ভাঙা। আর সবকিছু অগোছালো হয়ে আছে। কাজগুলো যে মুনের সেটা পিয়াল ভালভাবেই বুঝেছে। . ঘরে ঢুকতেই দেখে মুন বসে আছে। কেঁদে চোখ ভিজিয়ে ফেলেছে। পিয়াল বলল -এইসব ভাঙচুর করেছে কে? -আমি। -মানে কি!! বাচ্চাদের মত আচরণ করো কেন? -তোমাকে আমি বাড়িতে আসতে বললাম। কিন্তু তুমি আসলে না কেন? আর আমি ভেঙেছি বাবা আবার কিনে এবে দেবে। -আমার তো শুধু বউ এর কাজ করলেই হবে না। আমার আরো কাজ করতে হবে। -আমার বাবার অফিসের কাজ না করলেও তো চলে। তার মেয়েরে কাজ করতে পারো না? -তাহলে তো আর কোম্পানি থাকবে না। -না থাকলো। তাতে কি? আজ থেকে তুমি আমাকে তোমার সাথে নিয়ে যাবে। -আচ্ছা নিয়ে যাব। কিছু খেতে দেবে নাকি শুধু ভাঙচুর করবে? -চলো খেতে দেই। . পিয়াল আর মুন খেতে বসেছে। মুন খাচ্ছে না দেখে পিয়াল বলল -তুমি খাচ্ছ না কেন? -কিভাবে খাবো? হাতে ব্যান্ডেজ। -ব্যান্ডেজ কেন? কি হয়েছে? -তোমার জন্য খাবার তৈরি করতে গিয়ে। -বাড়িতে এত কাজের লোক থাকতে তুমি রান্না করতে গেলে কেন? -আমি আজ শখ করে তোমার জন্য খাবার বানিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি আসছো না দেখে গরম খাবারের হাত দিয়েছিলাম। -কেন করো এইসব? -তোমার সাথে প্রেম করি বলে। হি হি হি -এখন তো খেতে পারবে না। আসো আমি খাইয়ে দেই। -হি হি হি। -হাসছো কেন? -আমি এই ব্যান্ডেজ খুলবো না। -কেন? -যাতে তুমি আমাকে খাইয়ে দাও। আর খাওয়ার সময় হলেই তুমি আমার কাছে চলে আসবো। -এখন আমি সবসময় তোমার সাথে থাকবো। যাতে পাগলামি করতে না পারো। -হি হি হি। তাহলে তো আরো পাগল হবো। . খাওয়ার পরে পিয়াল বিছানায় শুতে যাচ্ছিল। মুন এসে বলল -আমি এখন ঘুমাবো না। -কি করবে তাহলে? -আমরা প্রেম করবো। হি হি হি। -কিভাবে? -তুমি বিছানায় বসে থাকবে আর আমি তোমার বুকে মাথা রেখে জানালা দিয়ে ওই আকাশ দেখবো। -কিন্তু আমি যদি ঘুমিয়ে যাই। -আমি পাহারা দেব তোমাকে। -আচ্ছা। . পিয়াল এখনও জেগে আছে। কিন্তু মুন ঘুমিয়ে পরেছে। পিয়াল মুনের মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবছে। মেয়েটি কত শান্ত শিষ্ট। কেউ বলতে পারবে না এই মেয়েটির মাথা গরম হলে সবকিছু ভাঙচুর করতে থাকে। . পিয়ালকে মুনের বাবা ছোটবেলায় গ্রাম থেকে নিয়ে আসে। পিয়াল এতিম ছিল বলে নিজের বাড়িতে রেখেই লালন পালন করতে থাকে। . পিয়াল বড় হওয়ার পরে মুনের বাবার কোম্পানিতেই চাকরি নেয়। মুনের সাথে পিয়ালের সম্পর্ক ভালই। মুন যখন পাগলামি করে তখন শুধু য়ালের কথাই শোনে। আর পিয়াল পাগলামি থামিয়ে দিতে পারে। . মুন পিয়ালকে বিয়ে করতে চায় কিন্তু পিয়াল রাজি হয় না। কারন পিয়াল কখোনও মুনের যোগ্য না। আর এতে মুনের পাগলামি আরো বাড়তে থাকে। . কিন্তু একদিন মুনের পাগলামির কারনে মুনের বাবা এসে পিয়ালকে অনুরোধ করে বসে। আর পিয়াল তার কথা ফেলতে পারে না। বাধ্য হয়ে মুনকে বিয়ে করতে হয়। . পিয়াল এতক্ষণ সেই পুরনো কথাগুলো ভাবছিল। আর মুন জেগে গিয়ে পিয়ালের দিকে তাকিয়ে আছে। মুন বলল -কি দেখছো অমন করে? -আমার পাগলিটার দিকে তাকিয়ে আছি। -কেন? -কারন আমি পাগলিটার প্রেমে পরে গেছি। -আমি যে আরো বেশি তোমার প্রেমে পরে গেছি। -তাহলে কি হবে? -আমরা আবার প্রেম করবো। আর তুমি আমাকে ভালবাসবে। -কত ভালবাসতে হবে? -ভালবেসে শুধু আমাকে জড়িয়ে রাখবে। আমাকে কখোনও ছেড়ে যাবে না তো? -আমার পাগলিটাকে ছেড়ে কি আমি থাকতে পারবো। -তাহলে আবারও পাগলামি করি। হি হি হি। . পিয়াল মুনের দিকে তাকিয়ে আছে। আর মুন পিয়ালকে জড়িয়ে ধরে ধরে বুকের মধ্যে আঙ্গুল ঘুরাচ্ছে। আর মাঝেমাঝে হাসছে। পিয়ালের চোখে ঘুম নেই। কারন এই মায়াবী মুখটার দিকে তাকিয়ে পিয়ালের চোখে ঘুম নেই। ঘুমিয়ে গেলে হয়তো এই মুহুর্তটা মিস করবে। . অনেক সুন্দর কবিতা যের ছন্দ ছন্দ ভরা

Comments

Popular posts from this blog

Free online Game Play

live gaming zozo

Live beautiful new York City square